শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

জুম মিটিং এ সিদ্ধান্তের পর যেভাবে আরিফকে হত্যা করে!

বিশেষ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ মিমাংসা না করে জোর পূর্বক দখল করে রাখে পেকুয়া যুবলীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের পরিবার। কিন্তু গেলো ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জমির বিরোধ মিমাংসাসহ কাগজপত্র নিয়ে বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দ্বারস্থ হওয়া শুরু করেন স্থানীয় সেন্ট্রাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আরিফুল ইসলাম। এর পর থেকেই তাকে হত্যার পরিকল্পনা শুরু করে জাহাঙ্গীর গং। আর এতে আরিফের ভাড়াটিয়া হিসেবে সেখানে থাকার সুবাদে অপহরণের আগে অধ্যক্ষ আরিফুলের গতিবিধির ওপর নজরদারিও করতে ২ হাজার টাকায় ভাড়া করা হয় রুবেল খানকে। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর একটি অনলাইন মিটিং এ সিদ্ধান্ত হয় আরিফকে অপহরণ করার।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লে: কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

সাজ্জাদ হোসেন জানান, অপহরণের পর জাহাঙ্গীরের বাড়িতে তাকে রেখে টর্চার করা হয়। সেখানে তাকে বেঁধে রেখে তার মোবাইল নিয়ে রুবেল চলে যায় চট্টগ্রামে। সেখান থেকেই পরিবারের কাছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে অপহরণের এক সপ্তাহ পর তাকে জাহাঙ্গীর বাড়িতে হত্যা করে বাড়ির পার্শের একটা পুকুরে বস্তাবন্দি মরদেহটি ফেলে দেওয়া হয়। আরিফের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।

মূলত জাহাঙ্গীর ও তার ভাই আজমগীর গং আর রুবেলের মধ্যে একটা সিন্ডিকেট হয়। তারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছে।

তিনি বলেন, ঘটনার পর ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। পরে গেলো বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম শহরের আন্দরকিল্লা এলাকা থেকে মো. রুবেল খানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

পরে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাছ ব্যবসায়ী সেজে শনিবার সন্ধ্যায় র‍্যাব ১৫ ও র‍্যাব ৭ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল চট্টগ্রাম শহরের সদরঘাট থানাধীন পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায় বন্ধুর বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করে।

জাহাঙ্গীর আলম বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে হত্যা, জোরপূর্বক ভূমি দখল, অপহরণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অগ্নিসংযোগ ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলো। জিজ্ঞাসাবাদে নৃশংস এই হত্যাকান্ডে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেন বলেও জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888